এসেইস: পরিবারের ব্যান্ড, ব্যান্ডের পরিবার
মানুষের কাছে জীবন ও জীবিকা প্রায় এক। তবে আমি মনে করি, জীবন মানে জীবিকা না। আমার কাছে দুটি একদমই আলাদা। জীবিকার জন্য আমি বেছে নিয়েছি করপোরেট জীবন আর বেঁচে থাকার জন্য আমি বেছে নিয়েছি পরিবার ও গানের জীবন।
সরদার আকিব লতিফ
6/13/20211 min read


বাসার সবচেয়ে ছোট সদস্য আলিনা। বয়স মাত্র ৬। এ-ঘর ও-ঘর ঘুরে বেড়ায় সারা দিন। আর যেকোনো গান কানে এলেই সেই গানের সঙ্গে একা একা কণ্ঠ মেলায় সে। বাসার বাকিরা খেয়াল না করলেও বাবা সাইফ শরিফ একদিন মনোযোগ দিয়ে আলিনার কণ্ঠ শুনে টের পেলেন, না শিখেই খুব সুন্দর হারমোনাইজ করছে। পরিবারের বাকি তিনজনকে ডেকে ব্যাপারটা জানালেন তিনি। আলিনার মা ইশরা, বড় বোন ঈদ ও মেজ বোন সারওয়া যেন এর অপেক্ষাতেই ছিল। সেদিনই যাত্রা শুরু করল ফ্যামিলি ব্যান্ড ‘এসেইস’।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটা। এসেইস ব্যান্ডের শুরুর দিনের গল্পটা এমন হলেও স্বপ্নটা অনেক আগেই দেখেছিলেন সাইফ-ইশরা দম্পতি। এক আড্ডায় সেই গল্প জানতে চেয়েছিলাম তাঁদের কাছে। সাইফ-ইশরা শোনালেন তাঁদের গল্প।
শুরুর গল্প
সাইফের বেড়ে ওঠা ঢাকার পুরানা পল্টনে। ছোটবেলায় সারা দিন শুধু পড়াশোনাতেই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। ক্লাস নাইনে ওঠার পর হঠাৎ মিউজিকের প্রতি আগ্রহ জন্মাল তাঁর। সাইফের বাবা বিদেশে গেলেন। মিউজিকে ছেলের আগ্রহ দেখে বিদেশ থেকে নিয়ে এলেন বিশাল এক কি–বোর্ড। কি–বোর্ড আর গান শেখায় পুরোপুরি মজে গেলেন সাইফ। বুয়েটে ঢোকার পর শুরু হলো সাইফের ব্যান্ড মিউজিক জার্নি।